সমস্ত পুজো মন্ডপ কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত : নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট

19th October 2020 4:27 pm কলকাতা
সমস্ত পুজো মন্ডপ কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত : নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) : তৃতীয়াতেই পুজো আয়োজন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলায় রায় ঘোষনা করলো । করোনা পরিস্থিতির মধ‍্যে এই আশঙ্কাই করেছিলেন অনেকেই । মুখ‍্যমন্ত্রী ৫০ হাজার টাকা করে ৩৭ হাজার পুজো আয়োজকদের অনুদান প্রদান করেছেন । এবার উচ্চ আদালতের রায়ে রাজ‍্যের সমস্ত পুজো মন্ডপ কনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত হল । জানিয়ে দেওয়া হয়েছে , কোন পুজো মন্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না । ছোটো পুজো মন্ডপ ৫ মিটার ও বড় পুজো মন্ডপ ১০ মিটার দূরে ই ব‍্যারিকেড দিয়ে নো এন্ট্রি জোন চিহ্নিত করতে হবে । অর্থাৎ মন্ডপের ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না । পুজো আয়োজকরা শুধু মাত্র মন্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন । তাদের সংখ‍্যা হবে সর্বোচ্চ ২৫ জন । প্রতিটি পুজো মন্ডপে আয়োজকদের নামের তালিকা টাঙাতে হবে । মুখ‍্যমন্ত্রী ইতিমধ‍্যেই কলকাতার বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধন করেছেন । নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বহু পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে । তারপর যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিয়েই চিন্তিত সকলে । মন্ডপে মন্ডপে উপচে পড়া ভীড় একাধিক জায়গায় । শিশুরাও আসছে বাবা মায়ের সাথে । স্বাস্থ‍্য বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তরা এই দৃশ‍্য দেখে কার্যত উদ্বিগ্ন ।  উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করেই এই রায় ঘোষনা করেছে । এবার কিভাবে এই স্বল্প সময়ে পুজো আয়োজকরা আয়োজন করতে পারেন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে । রাজ‍্যের ছোটো বড় সমস্ত পুজো আয়োজনের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা বলে আদালত জানিয়েছে । 





Others News

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  পর্ণশ্রীতে মা-ছেলেকে নৃশংভাবে খুনের কিনারা। ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া তে। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।

গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। ধৃতদের বাড়ি মহেশতলায়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃতরা। ধৃতদের অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবারের কাছে অনেক টাকা, গয়না ঘরে ছিল এমনই ধারণা ছিল ধৃতদের। পরিকল্পনা করেই বাড়িতে গিয়েছিল ধৃতরা। ধৃতরা জানত, ওই সময়ে তাদের দিদি সুস্মিতা মন্ডল একা থাকত। মাকে খুনের সময় ছেলে তমজিৎ মন্ডল দেখে ফেলে, সেইজন্যই ছেলেকে খুন। জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা।
ধৃত সন্দীপ দাস ও অন্যজন সঞ্জয় দাস কে আগামীকাল আলিপুর আদালতে তোলা হবে।